প্রফেশনালিজম হল একটা কাজ সহজে, দ্রুত এবং নিরাপদে সম্পর্ণ করা। ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আমি প্রতিনিয়ত যে ৫ টা টুল ব্যবহার করি সেগুলো নিচে উল্ল্যেখ করা হল।
১. ফাইল শেয়ারের জন্য ড্রপবক্স
ডিজাইনার হিসাবে আমাকে প্রতি মুহূর্তে ফাইল এবং স্ক্রিনসট শেয়ার করতে হয়। এ কাজের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরণের ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করি। এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রফেশনাল টুল রয়েছে। যেমন গুগল ড্রাইভ, ওয়ান ড্রাইভ, ড্রপবক্স, আই ক্লাউড, মিডিয়া ফায়ার, জিপি শেয়ার, ইত্যাদি। তবে এ দোড়ে ড্রপবক্স সবার থেকে এগিয়ে। এক ক্লিকে কম্পিউটার থেকে পাবলিক লিংক পাওয়া এবং কম্পিউটার থেকে অটো ক্লাউড সিংক আপলোড স্পিড এর বিবেচনায় ড্রপবক্স, গুগল ড্রাইভ কিংবা অন্য ক্লাউড ড্রাইভ থেকে কয়েক মাইল এগিয়ে। এ ছাড়াও কিবোর্ডের প্রিন্ট স্ক্রি বাটন প্রেস করলে অটমেটিক স্ক্রিনশন ড্রপবক্স ফোল্ডারে সেভ হয়ে যাবে।
২. গ্রামার শুদ্ধ করার জন্য গ্রামারলি
ইংলিশ কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে নির্ভুল ইংলিশ এর গুরত্ব বলার অপেক্ষা রাখে না। নিজের অদক্ষতা বা দ্রুত লিখতে গিয়ে আমরা ছোট ছোট গ্রামার বা বানান ভুল করে থাকি। এসব সমস্যার প্রফেশনার সমাধান হল গ্রামারলি।
৩. বেটারনেট ভি.পি.এন.
আমাদের বিভিন্ন কারনে ভিপিএন প্রয়োজন পড়ে। যেমন রাজনৈতিক কারনে অনেক সময় ফেসবুক, গুগল কিংবা স্কাইপের মত প্রফেশনাল টুল গুলো সরকার বন্ধ করে দেয়। তখন আমরা যারা এ টুলগুলো প্রফেশনালি ব্যবহার করি তাদের জন্য ভিপিএন ই সমাধান। এছাড়াও শেয়ার্ড আপি এর কারণে নানার প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়। অনেক ওয়েবসাইট অকারনেই আপনার ডিভাইস থেকে অপেন হবে না। এ সকল সে ক্ষেত্রে ভিপিএনের বিকল্প নেই। এমনি অনেকে আমাদের সার্ভার সিকিউরিটির কারনে আপনার আইপি ব্যাড হলে ক্রিয়েটিভ ক্লেন ওয়েবসাইট এ্যাকসেস করতে পারবেন না।
এ সকল সমস্য সমাধানের জন্য অনেক পেইড এবং ফ্রি ভিপিএন সার্ভিস মার্কেটে রয়েছে। তবে আমি ফ্রি ভিপিএন বেটারনেটেই নির্ভর করি।
৪. ফেসবুক এবং ইউটিউব এ্যাড ব্লক
এ্যাড দেখাটা বিরক্তিকর যদিও ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপনের বিনিময়ে তাদের সেবা দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এ্যাড ব্লক না করাই উত্তম। সেজন্য আমি কিছু কিছু ওয়েবসাইট বা চ্যানেলে এ্যাড এনাবল করে রাখি। যেসব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট অতিমাত্রায় বিঞ্জাপন দেয়ে সেগুলোকে ব্লক করে রাখতে পছন্দ করি। সে জন্য আমি এই দুইটি গুগল ক্রোম এক্সটেনশন ব্যবহার করি।
AdBlock | Social Netword AdBlock
৫. পাসওয়ার্ড মানেজার
আমার নিজের এবং ক্লায়েন্ট প্রজেক্টের জন্য আমাকে অনেক পার্সওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়। শতাধিক পাসওয়ার্ড স্মরণ রাখা সম্ভব নয়। আগে গুগল ক্রোমে সেভ করলেও এটা একেবারে কম সিকিউর হওয়ায় সেটা বন্ধকরে পরবর্তীতে এক্সেল ফাইলে সেভ করে রাখতাম। সেটাও যথেস্ট নিরাপদ নয় বিভিন্ন পাসওয়ার্ড এবং ক্রেডিটকার্ড এর তথ্য সেভ করার জন্য।
একই পার্সওয়ার্ড একাধিক ওয়েবসাইটে ব্যবহার করাও অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ। যেমন আপনার ওয়েবসাইট বা ইমেইলের পার্সওয়াড দিয়ে আপনার সকল অনলাইন একাউন্ট এ্যাকসেস করা যাবে। আপনার একটা ফেসবুক বা ইমেইল একাউন্টের অন্যজনের নিয়ন্ত্রনে যাওয়াটা কতটা ভয়াবহ ব্যাপার চিন্তা করুন।
এ সকল কারনে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করি। প্রথম ২ বছর ডেশলেন ব্যাহার করলেও বাৎসরিক চার্জ ৪৮ ডলার থেকে ৬০ ডলার হওয়ার পর ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছি। বর্তমানে স্টিকি পার্সওয়ার্ড ব্যবহার করছি। এটার জন্য কোন বাৎসরিক চার্জ নেই। লাইফ টাইম মেম্বারশিপ নেয়েছি। এ চার্জ ১৫০ ডলার হলেও আমি বিশেষ ডিস্কাউন্টে ৩৯ ডলারে নিয়েছি। আপনি চাইলে নিচের লিংক ব্যবহার করে কিনতে পারেন।
অন্যান্য প্রয়োজনীয় পোস্ট
- গ্রাফিক ডিজাইন এবং ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আগ্রহীদের জন্য গাইডলাইন
- ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসাবে নিতেহলে যেই বিষয় গুলা অবশ্যই জানতে হবে
- নতুন গ্রাফিক ডিজাইনার? মাথায় আইডিয়া আসে না? (এই পোস্ট পড়ুন)
- ফ্রিল্যান্সার দের কাজের জন্যে কেমন কম্পিউটার প্রয়োজন?
- আপনি যে কারনে ডিজাইনার হতে পারবেন না (Case Study)
- ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিং ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে আপনি যেভাবে ঠকতে পারেন