আপনাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা প্রফেশনাল হতে চান এবং অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে চান কিন্তু সে অনুযায়ী কাজ করতে আগ্রহী না।
অনেকেই আছেন যরা এই পোস্ট টি পড়া কিংবা এই পেজের ১৫ মিনিটের ভিডিও দেখার ধৈর্যও পায় না। আপনি কি তাদের মধ্যে একজন?
আমার কাছে অনেকেই গাইডলাইন পেতে চান, এই পেজে যথেষ্ট গাইডলইন পাবেন তবে গাইডলাইন ফলো করার আগে এই পেজটি ভালো ভাবে পড়ে নিন এবং পরামর্শগুলা নোট করে আপনার ডেস্কের সামনে লিখে রাখুন।
১. ধৈর্য নিয়ে ভিডিও দেখুন বা লেসন ফলো করুন
বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই একাটা ভিডিও বা লেসন সম্পন্ন করা আগে অন্য ভিডিও দেখা শুরু করেন। ইউটিউব হলে বিশেষ করে ক্লিকবেইটি থাম্বনেইল দেখে আকৃষ্ট হওয়ার বিষয় থাকে। যে বিষয় শেখা শুরু করেছেন সেই ট্রেকের বাহিরে অন্য ভিডিওতে বা অন্য ক্যাটাগরির কন্টেন্টে ফোকাস করবেন না।
২. টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করবেন না
টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করলে আপনি ডাউনলোড করা শিখবেন এবং এটাই আপনার অভ্যাস হয়ে দাঁড়াবে কিন্তু টিউটোরিয়াল দেখার সময় বা ফলো করে চর্চার সময় পাবেন না। সুতরাং, একটা কন্টেন্ট অনলাইনে দেখুন এবং সেটা থেকে শেখার চেষ্টা করুন।
একটা বিষয় শেখা হলে নতুন আরেকটি ভিডিও দেখুন এবং সেটা চর্চা করুন।
৩) ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনুন
আপনি যে বিষয় শিখতে আগ্রহী সে বিষয়ের পেজ গ্রুপ ফলো করুন। অপ্রয়োজনীয় গ্রুপ থেকে লিভ নিন, অপ্রয়োজনীয় বা কম প্রয়োজনীয় পেজ আনলাইক বা আনফলো করুন। ফেসবুকে অপরিচিত অপ্রয়োজনীয় বন্ধুদের পোস্ট আনফলো করুন। তাদের ঘুরতে যাওয়ার দৃশ্য কিংবা রেস্টুরেন্টে খাওয়ার ফটো আপনার লাইফে কোন ভ্যাল্যু ক্রিয়েট করে না। এমন মানুষদের ফলো করুন যারা আপনারকে ইন্সফায়ার করে। নতুন কিছু শেখার আগ্রহকে বাড়িয়ে দেয়।
নিজের মত করে আপনার ফেসবুক প্রোফাইল এবং নিউজ ফিড সাজিয়ে নিন। সম্ভব হলে মোবাইল থেকে ফেসবুক এ্যাপ ডিলিট করে দিন, শুধু ডেস্কটপ থেকে ব্যবহার করুন যদি আপনি সফল হতে চান।
৪. যে কাজের প্রতি আপনার ভালোবাসা তৈরি হয় সেটার সাথে দ্রুত ব্রেকআপ করবেন না
আপনি যে কাজটি আগ্রহ নিয়ে শুরু করবেন সেটার প্রতি আপনার অনীহা আসাতে পারে। মনে হতে পারে আমাকে দিয়ে মনে হয় এটা হবে না। আমি বরং অন্য কিছু ট্রাই করি!
অনেকে আবার আপনাকে বুঝাবে এটাতে ফিউচার নেই, বা এটা বলবে যে এই বিষয়ের মাকের্টে অনেক কমপিটিশন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কোন কিছুই খুব সহজে শেখা যায়না এবং সব স্কিল কেটাগরীতেই কমপিটিশন থাকবে। আপনাকে এগুলো এসকল নেগেটিভ সাজেশন অভারকাম করতে হবে ।
যা নিয়ে শুরু করবেন সেটার শেষ দেখে ছাড়বেন, যদি সেটার প্রতি আপনার ভালোবাসা থাকে। তবে এক থেকে ছয় মাস কিংবা এক বছর পরও যদি বিষয়টা আপনার প্রিয় না হয়ে উঠে তাহলে ব্রেকআপ না করে অন্য কিছু শেখার চেষ্টা করুন, তখন দুইটার বিষয় তুলনা করলে আগেটার গুরুত্ব অনুভব করতের পারবেন। তখন আপনি ই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোনটা আপনার জন্য বেশী উপযোগী।
৫) কোন মেন্টরের শরণাপন্ন হন
আপনি একা একা ইউটিউব থেকে যেকোন স্কিল ডেভেলপ করতে পারবেন। তবে সময় বেশি লাগবে এবং অনেক সময় হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেওয়ারও একটা চান্স থাকে। তাই আপনি যে বিষয় শিখতে আগ্রহী সে বিষয়ে ভালো শিখায় এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হন। নিজের স্কিল ডেভেলপের ক্ষেত্রে কিছু টাকা ইনভেষ্ট করলে ক্ষতি নেই।
তবে জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিন। আপনার আবেগকে পুঁজি করে অনেক ধন্দা-বাজ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ব্যবসা বসিয়ে আছে। সঠিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করুন।
ভিডিওতে সেম বিষয়গুলো একটু ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
উপসংহার
এই ৫টা রুলস ফলো করে ব্যর্থ হলে এ পেজটি আবার পড়ুন এবং পুনরায় শুরু করুন। কারণ আপনি নিয়ম গুলো সঠিক ভাবে মানেন নাই।
অন্যান্য যে পোস্টগুলো আপনার পড়া প্রয়োজন
- গ্রাফিক ডিজাইন কিভাবে শিখবেন? কোথায় শিখবেন?
- ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসাবে নিতেহলে যেই বিষয় গুলা অবশ্যই জানতে হবে
- ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিং ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে আপনি যেভাবে ঠকতে পারেন
- নতুন গ্রাফিক ডিজাইনার? মাথায় আইডিয়া আসে না? (এই পোস্ট পড়ুন)
- ফ্রিল্যান্সার দের কাজের জন্যে কেমন কম্পিউটার প্রয়োজন?
- আপনি যে কারনে ডিজাইনার হতে পারবেন না (Case Study)
5 thoughts on “যেভাবে দ্রুততম সময়ে প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায় (৫টা রুলস)”
বস তিন নম্বরে যেয়ে ধরা খাইছি
সোহেল ভাইয়ের মত আমিও সেম অবস্থায় আছি, আজকে থেকে ফেসবুক মোবাইল এপ্স ব্যাবহার করা বন্ধ করে দিব ইনশাল্লাহ! ধন্যবাদ প্রাণ প্রিয় আবু নাসের ভাইকে
ধন্যবাদ ভাই। ????
Assalamualaikum.
Ami ui ux design youtube e Shikhchi. Ekon amr mone hochche ekjon mentor proyojon. J amk guidline dibe. Apni ki amk kono shahajjo korte parben ey khetre?
Thank you
আসলেই ধৈর্য্য করে ভিডিও দেখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ!