গ্রাফিক রিভার মার্কেট রিসার্স ( যা বলা হয়নি কখনো আগে!)

মার্কেট প্লেস

গ্রাফিক রিভার মার্কেট রিসার্স ( যা বলা হয়নি কখনো আগে!)

By arxihad

February 23, 2021

গ্রাফিক রিভার!!! কম বেশি সকল গ্রাফিক ডিজাইনার ফ্রিল্যান্সারদের কাছে অনেক আকাঙ্খিত একটি নাম। যারা বিভিন্ন একটিভ মার্কেটে কাজ করেন বা অন্যান্য স্টক মার্কেটে কাজ করেন সকলের স্বপ্ন থাকে গ্রাফিক রিভারে অন্নত ১টা হলেও যেন এপ্রুভ আইটেম থাকে। তবে ডিজাইন এপ্রুভ ও এর পরিমাণ বাড়ানোর জন্য মার্কেটপ্লেস রিসার্সের কোনো বিকল্প নেই। গ্রাফিক রিভার বা অন্য স্টক মার্কেটে কাজ শুরু করার আগে কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হয় এই নিয়ে আমার পূর্বে ১টি আর্টিকেল রয়েছে, প্রয়োজনে পড়তে পারেন। আপনাদের যাদের গ্রাফিক রিভারে ১টা বা ২টা আইটেম আছে কিন্তু বার বার চেষ্টা করেও নতুন আইটেম এপ্রুভ করাতে পারছেন না তারা ধরে নিবেন গ্রাফিক রিভার মার্কেটটা আপনি এখনও সঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারেন নাই। আপনাকে প্রথমে মার্কেটটা বুঝতে হবে আর মার্কেট বোঝার জন্য রিসার্সের কোনো বিকল্প নেই। আজকে আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের মার্কেট সম্পর্কে কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো যা আমার বিগত ২ বছরের মার্কেট রিসার্স এর রেজাল্ট, যা আমি আমার নিজের পোফাইল ও অন্যান্য ডিজাইনারদের প্রোফাইল রিসার্স এর মাধ্যমে ধারণা পেয়েছি।

লক্ষ্য স্থির করুন…

গ্রাফিক রিভারে প্রথমে ম্যাক্সিমাম ২-৩ টা ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করবেন, ভালো হয় ২ টা ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করলে। ( করপোরেট বিজনেজ, রিয়েল এস্টেট, জিম, মেডিক্যাল, কিডস স্কুল…. এগুলোর মধ্যে থেকে ২ টা) এগুলো দিয়ে যখন ১০-১৫ টা ডিজাইন এপ্রুভ হবে তারপর অন্য ক্যটাগরির দিকে মন দিবেন। এর মধ্যে কর্পোরেট বিজনেজ, রিয়েল এস্টেট এই ২ টার চাহিদা মার্কেটে সব সময় থাকে, তাই প্রথমে এই ২ টা দিয়ে শুরু করতে পারেন। এগুলোর মধ্যে আবার অনেক ক্যাটাগরির সাবক্যাটাগরি পাবেন যেমন কর্পোরেট বিজনেসে কর্পোরেট ফ্লায়ার, কনফারেন্স ফ্লায়ার, বিজনেস ফ্লায়ার। রিয়েল এস্টেটের মধ্যে যাষ্ট লিষ্টেড, যাষ্ট সোল্ড, হোম ফর সেল ফ্লায়ার। মেডিকেলের মধ্যে মেডিকেল ফ্লায়ার, ডেন্টাল ফ্লায়ার, হোম কেয়ার ফ্লায়ার ইত্যিাদি। এগুলোর আবার অন্যান্য ডিজাইন যেমন পোষ্টকার্ড, ডোর হ্যাঙ্গার, র‌্যাক কার্ড,স্যোসাল মিডিয়া ডিজাইন ইত্যাদিতো আছেই। তাই এই ২ টা ক্যাটাগরির সম্ভাব্য সকল ডিজাইন করার চেষ্টা করবেন।

ট্রেন্ড ফলো করা শিখুন…

তারপর যখন 15-20 টা ডিজাইন এপ্রুভ হবে তখন সময়ের সাথে সাথে মার্কেটের ট্রেন্ডিং ডিজাইন করার চেষ্টা করবেন। সময়ের সাথে সাথে মার্কেটের ট্রেন্ডিং ডিজাইন বলতে বোঝায় এখন যেমন করোনা ভ্যাকসিনের টেন্ড চলছে সারা বিশ্বে তাই এই রিলেটেড ডিজাইন করতে পারেন। তারপরে বছরের শেষে ডিসেম্বর মাসে যেমন ক্যালেন্ডার ডিজাইন, নভেম্বর মাসে ব্ল্যাক ফ্রাইডে ডিজাইন….. এগুলো হলো সময়ের সাথে ট্রেন্ডিং ডিজাইন। আগেই বলেছি কর্পোরেট বিজনেজ, রিয়েল এস্টেট এই ২টার চাহিদা মার্কেটে কখনো কমে না, আবার যদি বছরের শেষে ও প্রথমে কর্পোরেট বিজনেজ ক্যাটাগরির কোম্পানি প্রফাইল, প্রপোজাল, বিজনেস ইনভয়েস এগুলোর মাল্টিপেজ ব্রশিউর করতে পারেন তাহলে খুবই ভালো। আবার এই ডিজাইনগুলো ইনডিজাইনে ও মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ডে করতে পারলে অধিক ভালো রেজাল্ট পাবেন।

মাত্র ১টি ক্যাটাগরি দিয়েই ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব!!!

গ্রাফিক রিভারে আরো একটি অলটাইম হট টপিক হলো স্টেশনারী ডিজাইন, যার চাহিদা মার্কেটেপ্লেসে সবসময় থাকে। এই স্টেশনারী ডিজাইনের মধ্যে রিজুম, ইনভয়েস, লেটারহেড, প্রোপোজাল এর মধ্যে কোনো না কোনো ক্যাটাগরি মার্কেটপ্লেসে সবসময় কম বেশি ট্রেন্ডিং লিষ্টে থাকে। এই ডিজাইনগুলোর এপ্রুভ আইটেমে যদি মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড ও ইনডিজাইন ভার্সন এ্যাড করতে পারেন তাহলে অধিক ভালো রেজাল্ট পাবেন। এবং হ্যাঁ এই ক্যাটাগরির ডিজাইনগুলো সবসময় চেষ্টা করবেন মিনিমাল ডিজাইন করার তাহলে এপ্রুভ ও সেল উভয় ক্ষেত্রেই পজেটিভ রেজাল্ট পাবেন।

A-Z ফলো করুন…

গ্রাফিক রিভারে যারা রেগুলার আইটেম দেয় এমন মিনিমাম ৩-৪ জন লিজেন্ড ডিজাইনারদের ফলো করবেন। ফলো বলতে A-Z ফলো। তারা মার্কেটে কখন কি ডিজাইন দেয়, কোন ক্যাটাগরির ডিজাইন দেয়, ডিজাইনে কি কনটেন্ট ব্যবহার করে, তাদের সেলের আপডেট সব ফলো করতে হবে। শুধু ফলো না পারলে একবারে মুখস্ত করে ফেলতে হবে। তারা যে নতুন ডিজাইন আপলোড করেছে সেগুলোর মধ্যে কোনটা সেল হচ্ছে, কোনটা হচ্ছে না। গত ১ দিন বা ২ দিনে তার সেলের সংখ্যা কত বেড়েছে, কোন ডিজাইনটা সেল হয়েছে এই সব বিষয় ফলো করতে হবে। এইটা করলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন বর্তমানে মার্কেটের জন্য কোন ডিজাইনটা করতে হবে, ডিজাইনে কি কি কনটেন্ট ব্যবহার করতে হবে। এই কাজটা যেমন আপনার ডিজাইন এপ্রুভের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে তেমনি আপনার সেলের সংখ্যাও বৃদ্ধি করবে ইনশাআল্লাহ।

পরিশেষে বলবো আমার মনে হয় না গ্রাফিক রিভার নিয়ে এমন সিক্রেট ইনফরমেশন আপনি এর আগে পড়েছেন বা পেয়েছেন। যদি পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি ভাগ্যবান। কারণ দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করে পাওয়া এই অভিজ্ঞতাগুলো সহজে সবাই ফ্রিতে শেয়ার করতে চায় না। আর আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলের মর্মটা ধরতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে এটা আপনার জন্য অন্যতম সেরা একটা গিফট। তাহলে আজ এই পর্যন্তই, হয়তো আবারো কোনো গিফট নিয়ে কোনোদিন হাজির হবো ইনশাআল্লাহ।

অন্যান্য রিলেটেড পোস্ট

  1. ব্লু-লাইট ফিল্টার গ্লাস ব্যবহার করা কেন জরুরী
  2. ওয়াইজ কেন ব্যবহার করবেন? সুযোগ সুবিধা গুলো কি কি?
  3. পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং ফি নিয়ে বিস্তারিত
  4. ক্রিয়েটিভ ক্লেনের গ্রাফিক ডিজাইন প্রশিক্ষন পদ্ধতি